একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার ফোনের সামনে পর্দা ছাড়া আর কিছুই যদি না থাকে, তবে কেমন হয়? মন্দ হয় না নিশ্চয়। এমন পর্দার মোবাইলের ধারণাটি যাদের ভালো লেগেছে, তাদের জন্য বলছি, আপনাদের কথা মাথায় রেখেই লেনোভো এমন একটি ফোন বাজারে আনতে চলেছে, যার সামনের দিকে পর্দা ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান নয়। চীনের মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট উইবোতে সম্প্রতি এমনই একটি স্কেচ পোস্ট করেছেন লেনোভোর ভিপি চ্যাং চেং।
হতেই পারে এই ছবি চূড়ান্ত নয়, তবে চেং দাবি করেছেন, এই ফোনে চারটি নতুন আর পেটেন্ট করা ১৮টি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে তৈরি হবে ফোনটি। সাধারণত ফোনের সেলফি ক্যামেরা, স্পিকার ও সেন্সরগুলোকে সামনের দিকে বসানো হয়। কিন্তু এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার হবে সেগুলোকে মোবাইলের পর্দার পেছনে আড়াল করতে বা অন্য কোনো স্থানে সরাতে।
চেং এর আগেও এক টিজারে একটি ফোনের আংশিক চিত্র প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, এমন একটি ফোন নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন, যার ৯৫ ভাগ জায়গাজুড়ে থাকবে এর পর্দা। যেখানে আইফোন ১০-এর পর্দা তার বডির ৮২.৯ ভাগ আর এসেনসিয়াল পিএইচ-১-এর পর্দা তার বডির ৮৪.৯ ভাগ জায়গাজুড়ে।
এখনকার ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে সাধারণত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি সামনে থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নেওয়া হয় আর ফ্রন্ট ক্যামেরাটি বসানো হয় একটি নচ-এর ভেতরে। যেমন আইফোন ১০-এ আমরা দেখেছি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বাদ দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি।
তবে বড় পর্দার এ ধরনের আরো কিছু পণ্য আমাদের সামনেই আছে। যেমন ভিভোর তৈরি অ্যাপেক্স কনসেপ্ট ফোনের পর্দা তার বডির ৯৮ ভাগ। এর জন্য এতে যে সেলফি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে, তা ফোনের ওপরের অংশ থেকে টেনে বের করতে হয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বসানো আছে এর পর্দার নিচে আর এর পুরো পর্দাই স্পিকার হিসেবে কাজ করে।
তবে লেনোভো জেড ফাইভ কবে নাগাদ বাজারে আসতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে আমরা আশায় থাকতেই পারি, শিগগিরই এমন একটি ফোন আমাদের হাতে শোভা পাবে।