গুণীজনরা বলেন, মুখের কথা একবার বের হলে আর ফিরিয়ে নেয়া যায়না। সুতরাং ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। অনলাইন মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে এই কথাটি মারাত্নকভাবে প্রযোজ্য। এই যেমন ফেসবুক মেসেজের কথাই ধরুন।
বর্তমানে মেসেঞ্জারে একবার কোনোকিছু কাউকে পাঠালে তা আর ফিরিয়ে নেয়া যায়না। আপনি সেই মেসেজ আর তুলে আনতে বা মুছে ফেলতে পারবেন না। বড়জোর আপনি আপনার নিজের মেসেঞ্জার থেকে মেসেজটি ডিলিট করতে পারবেন, কিন্তু যাকে পাঠিয়েছেন তার ইনবক্সে মেসেজটি থেকেই যাবে। এখন পর্যন্ত ফেসবুকের নিয়ম হচ্ছে, যার নিজের ইনবক্সের মেসেজ সে নিজে ডিলিট করতে পারবে। অন্য কারও হাত নেই এখানে। কিন্তু ফেসবুক এবার ব্যবহারকারীদের মেসেজ উভয় দিক থেকেই মুছে ফেলার ফিচার চালু করার কথা বলছে। ফিচারটির নাম হতে পারে ‘আনসেন্ড’।
এই ফিচারটি চালু হলে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে কাউকে মেসেজ পাঠানোর পর সেই মেসেজ চিরতরে মুছে ফেলতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনার মেসেজ যাকে দিয়েছেন, তার ইনবক্স থেকেও আপনার মেসেজটি ডিলিট হয়ে যাবে।
ফেসবুক এখনও এই ফিচারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি। প্রাপক ও প্রেরক, উভয়দিক থেকে মেসেজ মুছে ফেলার এই ফিচারটি চালু করার পেছনে বিশাল ইতিহাস রয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে ডেটা স্ক্যান্ডালের পর হঠাত করেই অনেকে এক অবাক করা ব্যাপার দেখছিলেন। যারা যারা ইতোপূর্বে ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গের সাথে ফেসবুকে মেসেজ আদানপ্রদান করেছেন, তারা সম্প্রতি ইনবক্স থেকে জাকারবার্গের মেসেজগুলো মুছে যেতে দেখেছেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এমনটি হওয়ার কথা ছিলনা। কারণ মেসেঞ্জারে সাধারণ নিয়মে একজনের ইনবক্স থেকে অন্যজন দূর থেকে মেসেজ ডিলিট করতে পারেনা। কিন্তু মার্ক জাকারবার্গের মেসেজ মুছে যাওয়ার ঘটনায় সবাই ব্যাপারটি আলোচনায় নিয়ে আসেন।
এরপর ফেসবুক বলেছে, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃত এই কাজটি করেছে, এবং ফেসবুকের কর্পোরেট নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কোম্পানিটি এই ঘটনায় আত্নপক্ষ নিয়েছে।