আপনি একজন ফেসবুক একাউন্টধারী হলে নিশ্চয়ই জানেন যে ফেসবুকে পোস্ট করার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আছে। চাইলেই যা ইচ্ছা পোস্ট করার অনুমতি নেই ফেসবুকে। আবার সাইটটিতে কিছু কিছু কাজকর্মের প্রতিও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ফেসবুকের। এসব ক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার পোস্ট রিমুভ করা থেকে শুরু করে একাউন্টও বন্ধ করে দিতে পারে।
তবে ঠিক কী কী কারণে আপনার পোস্ট রিমুভ কিংবা আইডি ব্যান হতে পারে সে ব্যাপারটা সবসময় ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। কারণ ফেসবুকের আইডি কিংবা পোস্ট রিমুভ বা ব্যান করার জন্য যে নীতিমালা তা ফেসবুক শুধুমাত্র তাদের কর্মচারীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তাই সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে এটা জানা সম্ভব ছিল না। যদিও বিচ্ছিন্নভাবে এইসব নীতিমালার কিছু কিছু অংশ বিভিন্ন সময়ে লিক হয়েছে।
তবে এবার ফেসবুক তাদের এই নীতিমালা অফিশিয়ালি সকল মানুষের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেছে। নীতিমালাটি প্রায় ৮৫০০ শব্দের। এতে যৌনতা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, বিতর্কিত ও অপমানজনক বক্তব্যের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো গ্রহণযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নয় এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
এর আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অনেকেরই অভিযোগ ছিল যে তারা কন্টেন্ট ব্যান করার ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা অনুসরণ করে না কিংবা খাপছাড়া ভাবেই কন্টেন্ট ব্যান করে। এই নীতিমালাটি ফেসবুকের জন্য একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কারণ এটি থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক কর্মকাণ্ড কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবে এবং সতর্ক থাকতে পারবে। গ্রাহকদেরকে ফেসবুক পলিসি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট করতেই এই উদ্যোগ।
এটা ছাড়াও ফেসবুকের আরো কিছু নীতিমালা এতদিন উপলভ্য ছিল যেখানে সংক্ষেপে ফেসবুকে কী করা যাবে বা যাবে না এই ব্যাপারে ধারণা দেয়া আছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এই ৮৫০০ শব্দের নীতিমালাটি আরো বেশি সুনির্দিষ্ট। মূলত এই নীতিমালা অনুসরণ করেই ফেসবুক কর্মকর্তারা আপনার কন্টেন্ট এর মান যাচাই করে প্রয়োজনে রিমুভ করে দেন। এটা পড়ে আপনি আরও ধারণা পাবেন যে আপনি কোনো আইডির বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট করছেন সেটি ফেসবুক আদৌ আমলে নিবে কি না! ৮৫০০ শব্দের বিশাল ওই নীতিমালা পড়তে এই লিঙ্ক ভিজিট করুন।
সম্প্রতি ডেটা কালেকশন ও ব্যবহার নিয়ে ইউএস সিনেটের তোপের মুখে পড়ে ফেসবুক। এরই ধারাবাহিকতায় নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করতেই তাদের এসব উদ্যোগ বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।